আগামী বছর আবার আসবেন দুর্গা

0

কৈলাশে ফিরে যাবেন দেবী দুর্গা। তাই ভক্তদের মনে দুঃখ। তবে তাদের কষ্ট লাঘব করতে আগামী বছর আবার আসবেন দুর্গা। দেবীর বিদায়ের কষ্ট ভুলে থাকতে এবং হাসিমুখে বিদায় জানানোর জন্য ভক্তরা মত্ত হন সিঁদুর খেলায়। বুধবার সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বিহিত পূজার পর দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয় দশমীর পূজা। এরপর ভক্তরা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। এবারের দুর্গাপুজাকে ঘিরে অনাকাঙ্খিত কিছু না ঘটায় বিশিষ্টজনেরা বললেন, রাষ্ট্রের সদিচ্ছাতেই সম্ভব যে কোন ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের।

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এ দিনেই দেবী মর্ত্য ছেড়ে ফিরে যাবেন স্বামীগৃহ কৈলাসে। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে শুধুই বিষাদের ছায়া। উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনায় দেবী দুর্গার বিদায়ের সুর। মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ১ অক্টোবর শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। এরপর হাসি-আনন্দ আর পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে কেটে গেছে চারটি দিন।

প্রতিবার কিছু না কিছু অপ্রীতিকর এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলেও এবারের দুর্গাপুজায় তেমন কিছু ঘটেনি। যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির মোকাবিলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিলো অনেক বেশি তৎপর। রাষ্ট্র চাইলে সব ধর্মের অনুষ্ঠানই যে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান সম্ভব, তেমনটাই মন্তব্য বিশিষ্টজনদের। করোনা মহামারির কারণে সংক্রমণ এড়াতে গত দুই বছর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। তখন হয়নি বিসর্জনের শোভাযাত্রা, হয়নি সিঁদুর খেলা। তবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এবারে সবচেয়ে বড় উৎসবটি ছিলো সবদিক দিয়েই বর্ণিল।

Share.

Comments are closed.