নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পাত্র একজন টিভি অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। কখনওবা দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ান ঐতিহ্যের সন্ধানে। গণমাধ্যমে তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট এলাকার শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতি। সে কারণেই হয়তোবা পাত্রী যখন জিজ্ঞেস করলো শ্বশুর বাড়িতে কী খাবে, কী তোমার পছন্দ? পাত্রের উত্তর বরাবরই পেশাদার, ‘তোমাদের এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার।
যথারীতি বিবাহ কার্য সম্পাদন হলো। প্রথম দিন রীতিমাফিক পোলাও, কোর্মা, গরু, মুরগী-খাসী। বাসররাতে পাত্র বললো, কই, তোমার ট্রেডিশনাল ফুড কই? পাত্রী বললো- আরে বাবা কাল সকাল থেকেই পাবে।
সকাল বেলা নাশতার টেবিলে হাজির বিচিত্র সব পিঠা। পাত্রতো একটাকেও চিনেনা। নাম জিজ্ঞেস করার পর পাত্রী মিষ্টি হেসে বললো- এগুলো হচ্ছে গুড়গুড়িয়া পিঠা, দুধ পিঠা, পুয়া পিঠা, নুনহাশ পিঠা, শেমাই পিঠা। দুপুর বেলায় পাতে এসে জুটলো পেলকা শাক, লাফা শাক আর সিদল ভর্তা। জামাইতো মহাখুশী। মনে মনে ভাবলো, যেমন সুন্দর বউ, তেমন
বিচিত্র সব খাবার।
পাঠক,
এই পাত্র আর কেউ নন। টিভি ও চলচ্চিত্র পরিচালক সাজ্জাদ রাহমান। আর জামাই হয়েছেন ঐতিহ্যবাহী জেলা পঞ্চগড়ের। তাকে প্রশ্ন করা হলো, এতো দূরে কেন? বললেন পঞ্চগড়ে শুধু ঐতিহ্যবাহী খাবারই নয়, ঐতিহ্যবাহী বউও আছে, তাই এতোদূর। কনে লোকমুখে প্রচলিত মিস পঞ্চগড় রোজিনা আক্তার। পাত্রীকে প্রশ্ন করা হলো- কেন তিনি এতো মানুষ থাকতে এই পাত্রকে বেছে নিলেন? তাঁর উত্তরটাও সেরকম। সাজ্জাদ একজন নির্মাতা, সেই সাথে ডিবিসি নিউজ এর মতো একটি নামকরা চ্যানেলে কর্মরত। সুতরাং ওকে জীবনসাথী করতে পারলে আমার প্রিয় জন্মস্থান সম্পর্কে গণমাধ্যমে
অনেক কিছু তুলে ধরা সম্ভব হবে ‘
সাজ্জাদ বললেন- ‘বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই রোজি আমাকে বলেছেন, তুমি পঞ্চগড় নিয়ে কিছু কর। এ জেলার মানুষ অনেক সরল একই সাথে এলাকাটা অনেক সম্ভাবনাময়। আমি চাই তোমার মাধ্যমে জাতি জানুক পঞ্চগড়ের গৌরবদীপ্ত ইতিহাস এবং ঐতিহ্য।’
ঐতিহ্যের সন্ধান করতে গিয়ে বউ খুঁজে পেলেন পরিচালক সাজ্জাদ রাহমান
0
Share.