চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব-সাইফ পাওয়ারটেক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু

0

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয়েছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব-সাইফ পাওয়ারটেক বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে বর্ণাঢ্য এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো: রুহুল আমিন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, যুবসমাজকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বেরিয়ে এনে তাদের মানস গঠনের জন্য খেলাধুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুবসমাজের মানস গঠন যথাযথ না হলে তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। এ জন্য ক্রীড়াক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আইটির এই খারাপ দিকগুলো থেকে বের করে আমাদের যুব সমাজকে খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনতে হবে। ক্রীড়াকে শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রিক বা বিভাগীয় শহরে আবদ্ধ না রেখে গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তরফদার রুহুল আমিন বলেন, চার বছর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল বিশ্বে ৯৮তম। বর্তমানে তা ৬৪ তে পৌঁছেছে। চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে। দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯০ শতাংশ এ বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সব খাতেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দু।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের মানুষদের জন্য সৃষ্টিকর্তার অমূল্য দান। এই সম্পদকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র এই চট্টগ্রামেই বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। আর এগিয়ে যাওয়ার নিয়ামকের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের অবদান অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকার জন্য প্রশংসার দাবি রাখে।

চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক পরিশ্রম করেছি। রাতের ২ থেকে ৩টা পর্যন্ত কাজ করে বন্দরের বিভিন্ন দিক জানার চেষ্টা করেছি। কারণ চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু। দেশের মোট আমদানি-রপ্তানির শতকরা ৯২ ভাগ কাজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয় যার পঞ্চান্ন শতাংশ কাজ হয় সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের মাধ্যমে। আগে যেখানে একটা জাহাজের মাল খালাস করতে ১৩ থেকে ১৪ দিন লাগতো, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর তা ২ থেকে ৩ দিনে নেমে এসেছে। সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা নিজেরা গর্ববোধ করি।

তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ফুটবল খেলা বাঙালি জাতির রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। শেখ কামাল বাংলাদেশের ফুটবলের স্বপ্নদ্রষ্টা, তিনি আবাহনী ক্লাব গঠনের মাধ্যমে ফুটবলকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে চেয়েছেন। ২০১৫ সাল থেকে আমরা শেখ কামাল ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু করেছি।  টুর্ণামেন্টের মাধ্যমে আমরা শেখ কামালের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই। এ বছরের অক্টোবরে তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রামে এ টুর্নামেন্ট সফল করতে সকলের সহযোগিতা চাই।

সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস ও সঞ্চালনা করেন যুগ্ম-সম্পাদক নজরুল ইসলাম। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।

আলী আব্বাস বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সবচেয়ে বড় আনন্দযজ্ঞ এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সাংবাদিকরাও বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী এবং তারা তাদের যোগ্যতা দিয়েই এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

স্পন্সর হওয়ার জন্য সাইফ পাওয়ার টেকের কর্ণধার তরফদার রুহুল আমীনকে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তরফদার রুহুল আমিন এবং প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস দাবার গুটি চালের মাধ্যমে মাসব্যাপী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব-সাইফ পাওয়ারটেক বার্ষিক ক্রীড়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। 

Share.

Comments are closed.