১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে কয়েক হাজার বিমান ও সেনাবাহিনী সদস্যদের হত্যা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতসহ সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমান ও সব যুদ্ধাপরাধীদের কবর সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। মঙ্গলবার রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে মায়ের কান্না সংগঠনের আয়োজনে মানববন্ধনে এমন দাবি জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্বজনরা বলেন, নিজের ক্ষমতা পোক্ত করতে জিয়াউর রহমান কথিত বিদ্রোহ দমনের একদিনের সামরিক আদালতে বিচার করে সেই রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন করেন হাজার হাজার সেনা সদস্যের।
জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন ‘খুনি ও বিশ্বাসঘাতক উল্লেখ করে’মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার কর্মকর্তা ও সৈন্যকে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান খালি করেছে বহু মায়ের বুক, স্ত্রী হারিয়েছে তার স্বামীকে এবং সন্তান হারিয়েছে তার পিতাকে। নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে তিনি এই হত্যাকাণ্ড চালান বলে দাবি করেন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের স্বজনরা। সংসদের পাশের এই ‘পবিত্র’ জায়গায় দেশের রাজনীতিকে কলুষিত করা এবং দুর্নীতি ও লুটপাটের অর্থনীতি চালু করা জিয়ার কবর থাকতে পারে না। নিহতের স্বজনরা বলেন, সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল জিয়া নির্দেশে গঠিত বিশেষ সামরিক ট্রাইবুনালের কথিত বিচারে ফাঁসি হওয়া ১৯৩ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু ওই ঘটনার জেরে প্রকৃতভাবে মৃতের সংখ্যা ছিল ১১৪৩ জন, তেমনি কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রায় আড়াই হাজার সদস্য।