চাকুরির পেছনে না ছুটে চা বিক্রি করে স্বাবলম্বী আজহার উদ্দিন

0

চাকুরির পেছনে না ছুটে চা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ময়মনসিংহের আজহার উদ্দিন। দুবাই থেকে হরেক রকমের চা বানানো শিখে বাংলাদেশে চালু করেছেন ১৯ টি দোকান। বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টের দোকানটি নিজে পরিচালনা করছেন তিনি। যেখানে বিক্রি হচ্ছে ১৫২ ধরনের চা। এসব চা খেতে প্রতিনিয়ত ভীড় করছেন হাজার হাজার মানুষ।

কক্সবাজারের সাগরপাড়ের লাবণী পয়েন্টে রাজার সাজসজ্জায় শাহী ভাব নিয়ে চা তৈরী করছেন এক ব্যাক্তি। বাড়ি তার ময়মনসিংহের ত্রিশালে। দুবাই থেকে ফেরার পর ২০১৮ সালে বাংলাদেশে তার প্রথম চা বিক্রি শুরু। একে একে সারাদেশে এখন তার ১৯ টি দোকান। লাবনী পয়েন্টের দোকানটিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫২ ধরণের চা। জীবিকার তাগিদে দুবাই গিয়ে সেখান থেকেই এমন চা বানানো শিখেন রাজা মামা খ্যাত এই ব্যাক্তি। ভিন্নরকমের স্বাদ ও শাহী পরিবেশনার ফলে দিন দিন ছড়িয়ে পড়ছে তার চায়ের সুনাম। তার চায়ের দোকানে কর্মসংস্থান হয়েছে বহু বেকার যুবকের।

জাফরান চা,মালাই চা,বালু চা,মরিচ চা, তেঁতুল চা, তুর্কি চা সহ প্রায় ১৫২ ধরনের চা পাওয়া যায় রাজার দোকানে। স্বাদ ভেদে এককাপ চায়ের দাম ২০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন ৭০—৮০ হাজার টাকার চা বিক্রি হয়ে থাকে রাজার এই দোকানে। আজহার উদ্দিনের এই চায়ের দোকানে মুক্তিযোদ্ধা আর প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিনামূল্যে চায়ের ব্যবস্থা।

Share.

Comments are closed.