জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করলো বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। তাতে সুপার টুয়েলভের পথচলায় সুন্দর শুরু সাকিব বাহিনীর। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান করে লাল-সবুজরা। জবাবে পেসার তাসকিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় ডাচরা। ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা তাসকিন। সাকিবদের পরের ম্যাচ আগামী বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
এরচেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে! বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে যাদের পারফম্যান্স নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে বিশ্লেষকদের মুখে, যাদের নিয়ে ট্রল করেছেন নেটিজেনরা, তাদের মুখ বন্ধ করার জন্য এরচেয়ে সুন্দর জবাব আর কি হতে পারে! ১৪৫ রানের টার্গেটের বিপরিতে ডাচদের ৬৬ রানে নেই ৬ উইকেট। ত্রয়োদশ ওভারে বৃষ্টির হানায় কিছুটা সময় বন্ধ খেলা। তাতে অবশ্য দুর্ভাবনার কিছু নেই বাংলাদেশের। ডাকওয়ার্থ লুইস ও স্টার্ন পদ্ধতিতে ৩২ রানে এগিয়ে সাকিব আল হাসানের দল। ডাকওয়ার্থে তাদের প্রয়োজন ছিলো ৯৮ রান।
সেখান থেকেই জয়ের উৎসবের অপেক্ষায় হোবার্টে বসবাসরহ বাঙালিদের পাশাপাশি, গোটা বাংলাদেশ। শেষটা হতে পারতো একচেটিয়ায়। কিন্তু পার্টটাইম পেসার সৌম্য সরকারের গা-ছাড়া বোলিংয়ে, ভয় ঠুকে যায় সমর্থকদের মাঝে। যদিও শেষটা হয় তার হাতেই। এর আগে, হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে টসের জয়ের সুবিধা লুফে নেয় নেদারল্যান্ডস। ৮ উইকেটে ১৪৪ রানের অল্প পুঁজিতে থেমে যায় বাংলাদেশ। যদিও ইনিংসের শুরুটা ভালো ছিলো। শান্ত-সৌম্য’র ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পরই এলোমেলো হয়ে যায় সব। উইকেটে এলেন আর গেলেন সাকিব ও লিটন। ৭৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর চরম চাপে পড়া দলকে উদ্ধার করতে জুটি বাঁধেন আফিফ ও সোহান। তাদের ৪৪ রানের পার্টনারশিপে পার হয় দলীয় শতরান। আফিফ ফেরেন ৩৮ রানে আর সোহান করেন ১৩ রান।