২৫ মার্চ ১৯৯২ থেকে ১৪ জুলাই ২০১৯। ব্যবধান নয় হাজার নয়শ ৭২ দিনের। ঘন্টার হিসেবে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৩২৮ ঘন্টা। এতো দিন বা এতো সময় পর আবারো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। শেষবার যখন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে তখন জন্মই হয়নি বর্তমান দলের পেসার জোফরা আর্চারের। অধিনায়ক ইয়ন মর্গান তখন পাঁচ বছরের শিশু।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল মানেই যেন ইংল্যান্ডের কাছে কষ্টের যন্ত্রণা ছাড়া আর কিছুই না। তিন তিনবার বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েও শিরোপার দেখা পায়নি তারা। বিশ্বকাপ ফুটবলে নেদারল্যান্ডস যা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডও ঠিক তাই। নেদারল্যান্ডসও তিনবার বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে গিয়ে শিরোপা জিততে পারেনি।
তবে এবার ইতিহাসকে পাল্টাতে চায় ইংলিশরা। বিশ্বকাপ শুরুই করেছিল হট ফেভারিট হিসেবে। অবশ্য হঠাৎ-ই তাদের ছন্দপতন হয়। ইংল্যান্ডের সেমিফাইনাল খেলা নিয়েই তৈরী হয়েছিল শঙ্কা। তবে সব শঙ্কাকে উপেক্ষা করে বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়োকে দাঁড়াতেই দেয়নি। তাই ফাইনালে পরিস্কার ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে ইংল্যান্ড।
ফাইনাল খেলতে ইংল্যান্ডকে বছরের পর বছর অপেক্ষো করতে হলেও নিউজিল্যান্ডের ফাইনালে খেলার স্মৃতি যেন এখনও চোখের সামনে। গত বছরই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে তারা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাজেভাবে হেরে ফাইনালের সৌন্দর্য্য নষ্ট করেছিল নিউজিল্যান্ড।
তবে শিরোপার এতো কাছে এসে টানা দু’বার তা জয়ের সুযোগ নষ্ট করতে চাইবে না নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড যতোই ফেভারিট হোক, স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা নিয়ে যতোই এগিয়ে থাকুক মরণ কামড় দেয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড যে প্রস্তুত— তাতে কোন সন্দেহ নেই। লর্ডস থেকে তাই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। প্রশ্ন এখন একটাই—ট্রফি তুমি কার?
ট্রফি তুমি কার?
0
Share.