ফেসবুক পরিচয়ে বিয়ের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে অনেকেই বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। আবার ফেসবুকে পরকীয়ায় তছনছ হয়ে যাচ্ছে সাজানো সুখের সংসারও। এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হচ্ছে প্রবাসীরা। তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার, পরকীয়া ও সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
আব্দুস ছামাদ, সৌদিআরব প্রবাসী। দুই বছর আগে চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার আব্দুল লতিফের মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে ফেসবুকে পরিচয়। এক পর্যায়ে ফেসবুকে প্রেম পরে সৌদিআরব থেকে চট্টগ্রামে এসে দুই সন্তানের জননী শারমিন আক্তারকে বিয়ে করেন মংমনসিংহ আব্দুস ছামাদ। কিছুদিন সুখেই সংসার করেছেন, পরে হাতে চলে আসে বউয়ের ফেসবুকে বিভিন্ন লোকের সাথে পরিচয় ও প্রেম এবং অনৈতিক সম্পর্কের ডকুমেন্টস।
মুঠোফোনে ইন্টারনেটের সুবাধে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সহজলভ্য হওয়ায় তরুণরা ঝুঁকছে নানা অপকর্মে। শুধু দম্পতি নয়, উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরাও প্রচুর সময় ব্যয় করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এভাবে দিনের পর দিন পার করায় নৈতিক মূল্যবোধ বিদায় নিচ্ছে তাদের মধ্য থেকে।
চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ফেসবুকে অপসংস্কৃতি চর্চায় মানুষের চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে স্বামী-স্ত্রীরা বিদ্যমান সম্পর্কের বাইরে গিয়ে অন্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। ফলে সোনালি সংসার ভেঙে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের নিজস্ব কোনো খারাপ দিক নেই। খারাপ, ভালো নির্ধারিত হয় ব্যবহারকারী ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মানসিকতার ওপর।