সিলেট বিভাগে চারটি জেলা। এর মধ্যে হবিগঞ্জ অন্যতম। নয়টি উপজেলা নিয়ে এই জেলা গঠিত। এর মধ্যে একটি উপজেলা হচ্ছে বানিয়াচং। আজ আমরা জানাবো বানিয়াচং উপজেলার দর্শনীয় স্থান রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষ নিয়ে।
গোবিন্দ সিংহ বানিয়াচং রাজ্যের অধিপতি হওয়ার পর পদ্মনাভ বা কর্ণখাঁর দিঘীর পশ্চিম পাড়ে রাজবাড়ী গড়ে তোলেন। বর্তমানে ঐ রাজবাড়ীর কিয়দংশ বিদ্যমান আছে।
পাশে ধর্মান-রিত গোবিন্দ সিংহ তথা হবীব খাঁ’র (প্রাচীন ইটে মোড়ানো) সমাধি রয়েছে। রাজবাড়ীর বাকি প্রাচীর সরিয়ে প্রায় একশ বছর পূর্বে লোকনাথ রমন বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। এ রাজবাড়ীর ধ্বংসাবশেষে কিয়দংশ নিয়ে একটি ভ্রান্ত কল্প কাহিনী এ অঞ্চলে প্রচলিত রয়েছে।
ধ্বংসাবশেষের মধ্যে পাথরের দালানের ৪টি পিলার দন্ডায়মান রয়েছে এবং এর চার পাশে বেলে ও মার্বেল পাথরের খন্ড বিখন্ড পড়ে আছে। ঐগুলোকে ‘হব্যা’ ও ‘ঘোমা’ দাড়া গুটি বলা হয়ে থাকে। কল্প কাহিনীতে ‘হব্যা’ ও ‘ঘোমা’ দুই ভাই পালোয়ান ছিলেন। তারা দিঘীর পাড়ে এ পাথরের খন্ড নিয়ে দাড়াগুটি খেলতো বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
আসলে ‘হব্যা’ ও ‘ঘোমা’ একই নাম। হবীব থেকে ‘হব্যা’ এবং গোবিন্দ থেকে ‘ঘোমা’ নামে অপভ্রংশে প্রচার পায়। প্রায় সপ্তদশ শতাব্দিতে দেওয়ান আবেদ রাজা ঐ রাজবাড়ী বানিয়াচং কসবার উত্তরাংশে স্থানান্তর করেন। ঐ এলাকা দেওয়ান বাগ হিসেবে পরিচিত।
কিভাবে যাওয়া যায়:
বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ থেকে পায়ে অথবা রিক্সাযোগে