বিথঙ্গলের আখড়া

0

সিলেট বিভাগে চারটি জেলা। এর মধ্যে হবিগঞ্জ অন্যতম। নয়টি উপজেলা নিয়ে এই জেলা গঠিত। এর মধ্যে একটি উপজেলা হচ্ছে বানিয়াচং। আজ আমরা জানাবো বানিয়াচং উপজেলার দর্শনীয় স্থান নিয়ে।

বানিয়াচং উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিঃ মিঃ দক্ষিণ পশ্চিমে হাওড় পাড়ে বিথঙ্গল গ্রামে আখড়াটি অবস্থিত। যা বৈষ্ণব দর্মাবলম্বীদের জন্য অন্যতম তীর্থস্থান। এ আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা রামকৃষ্ণ গোস্বামী উপমহাদেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান সফর শেষে ষোড়শ শতাব্দিতে ঐ স্থানে  আখড়াটি প্রতিষ্ঠিত করেন। এ আখড়ায় ১২০জন বৈষ্ণবের জন্য ১২০টি কক্ষ রয়েছে। উল্লেখ্য প্রায় ৫শ বছর পূর্বে ত্রিপুরার রাজা উচ্চবানন্দ মানিক্য বাহাদুর প্রাচীন নির্মাণ কৌশল সমৃদ্ধ দুইটি ভবন নির্মাণ করে দেন এবং মানিক্য বাহাদুর ও তাঁর স্ত্রী ঐ আখড়ায় প্রায়ই এসে অবস্থান করে ধর্মকর্ম করতেন। এ ভবনগুলো সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসের পথে। বর্তমানে আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা রামকৃষ্ণ গোস্বামীর সমাধিস্থলে আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর একটি ভবন তৈরী করে দিয়েছেন জনৈক ব্যক্তি। এ আখড়াটি ঘিরে কার্তিক মাসের শেষ দিন ভোলা সংক্রানি- উপলক্ষে কীর্ত্তণ হয়। ফাল্গুন মাসের পুর্ণিমা তিথিতে দোল  পূর্ণিমার পাঁচ দিন পর পঞ্চম দোল উৎসব উদযাপিত হয়। এ ছাড়া আষাঢ় মাসের ২য় সপ্তাহে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। আখড়ার প্রতিটি উৎসবে ৫ থেকে ১০ হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। ঐ আখড়ায় দর্শনীয় বস্তুর মধ্যে রয়েছে ২৫মন ওজনের শ্বেত পাথরের চৌকি (খাট), পিতলের তৈরী  সিংহাসন, প্রাচীন কারুকার্য সমৃদ্ধ রথ এবং রৌপ্য পাখি ও সোনার মুকুট।

কিভাবে যাওয়া যায়:

শুকনো মৌসুমে হবিগঞ্জ কামড়াপুর ব্রীজ হতে জীপযোগে সুজাতপুর হয়ে নৌকোযোগে অথবা পায়ে হেটে বর্ষা মৌসুমে হবিগঞ্জ কালার ডুবা থেকে নৌকা অথবা বানিয়াচং আদর্শবাজার হতে নৌকাযোগে

Share.

Comments are closed.