বছর ঘুরে দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষবরণ ও বিদায় উৎসব নিজস্ব আঙ্গিকে উদযাপন করে পার্বত্য চট্টগ্রামের নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়। ইতোমধ্যে পাহাড়ে বইতে শুরু করেছে উৎসবের হাওয়া। শুরু হয়েছে সংস্কৃতি মেলা, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা। উৎসবকে ঘিরে ঐতিহ্যবাহী নানা আয়োজনে মেতে উঠেছে পাহাড়ের সব সম্প্রদায়ের মানুষ।
বাংলা বর্ষবরণ ও বিদায় উৎসবকে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, বিজু, ত্রিপুরা, বিহু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, মারমারা সাংগ্রাই নামে উদযাপন করে থাকেন। এসব নামের আধ্যক্ষর নিয়ে উৎসবের নামকরণ করা হয়েছে বৈসাবি। প্রতিবছর আগেভাগেই বৈসাবী উৎসবে মেতে উঠে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টিরা। চলে ঐতিহ্যবাহী নানা আয়োজন। রাঙামাটিতে বর্ণাঢ্য রেলীর মাধ্যমে শুরু হয়েছে বৈসাবী উৎসব। জেলা পরিষদের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৫ দিনের এ সাংস্কৃতি মেলা। যেখানে বিভিন্ন নৃ-গোষ্টির মানুষ তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন। উৎসবে শামিল হয়েছে স্থানীয় বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ। বৈসাবী উৎসবে ফুটে উঠে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এ উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্বের বন্ধন আরও বাড়বে বলে আশা সবার।