১৪ ডিসেম্বর। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বিজয়ের ঠিক মাহেন্দ্রক্ষণের আগে জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। অবনত মস্তকে গভীর শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে ভোর থেকেই রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ভোর থেকেই নামে মানুষের ঢল। শ্রদ্ধা জানাতে আসা আওয়ামী লীগ নেতারা বললেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবারও প্রতিশোধের খেলায় মেতে উঠেছে। আর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানালেন, আগামী ২৬শে মার্চের আগেই প্রকাশ করা হবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ দেশ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক সেই মুহুর্তে মরণ ছোবল হানে পাকিন্তান। রাজাকার বাহিনীর পরিকল্পনায় বাঙালী জাতিকে মেধাশূণ্য করতে বেছে বেছে হত্যা করা হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর এসেও বাঙালী ভোলেনি শহীদ সেই বুদ্ধিজীবীদের। ভোর থেকেই তাই ঢল নামতে থাকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত সর্বস্তরের মানুষের।
জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, একাত্তরে পরাজিত শক্তিরা আবারও সক্রিয় হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান খুব শিগগিরই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশের কথা। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আবারও দাবি ওঠে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার।