সাকিবে সাকিবে ২০১৯ বিশ্বকাপ

0
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ৩৭০তম ম্যাচ। কিন্তু হোম অব ক্রিকেট লর্ডসে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। তবে ক্রিকেটের গর্বের জায়গা থেকে গর্ব নিয়ে ফিরতে পারেনি টাইগাররা। ভারতের কাছে আগের ম্যাচে হেরে শেষ হয়ে গিয়েছিল সেমিফাইনাল স্বপ্ন। প্রত্যাশা ছিল ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডস থেকে হাসি নিয়ে বিশ^কাপকে বিদায় বলবেন মাশরাফিরা। কিন্তু বিশ্বকাপের শেষটা হলো পাকিস্তানের কাছে ৯৪ রানের পরাজয় দিয়ে। অবাস্তব সমীকরণ পেয়ে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। আর ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করার পর সেমিফাইনালে যেতে পাকিস্তানকে যা করতে হতো সেটা তো রীতিমতো হাসির জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশ ৭ রান বা তার কমে অলআউট হলে তবেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতো পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশকে ৭ রানে অলআউট করতে না পারলেও ৩৫ বল আগে ২২১ রানে অলআউট করতে পেরেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বাজে ব্যাটিংয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ কোন পার্টনারশিপ তৈরী না হওয়া। সাকিব ও লিটনেরর পার্টনারশিপটাই একমাত্র ৫০ ছাড়িয়েছে। সাকিবকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেন নি। ঘুরে ফিরে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই সাকিব আল হাসানের নাম। ৬৪ রান করেছেন সাকিব। ইনিংসের একমাত্র ফিফটিও এটি। ১৯ বছর বয়সী শাহিন আফ্রিদিই বাংলাদেশের পরাজয় লিখিয়ে দিয়েছেন। ৩৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে লর্ডসের লর্ড হয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন। শাহিনের পারফরম্যান্স তাই আড়াল করে দিয়েছে মুস্তাফিজের ৭৫ রানে ৫ উইকেট অর্জনকে। ব্যাটিং পারফরম্যান্স দিয়েই অবশ্য লর্ডসের আলো নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছিল পাকিস্তান। বিশেষ করে ইমাম-উল-হক ও বাবর আজম। ইমাম উল হক ১০০ রানে আউট হলেও চার রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন বাবর আজম। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যাই হোক না কেন একজন নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। ২০১৯ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন তিনি। যার নামের পাশে ৬০৬ রান। দু’টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরি। আর বল হাতে ১১ উইকেট। সাকিবের সাফল্যগুলোকে এক একটি অধ্যায় বানালে বিশ্বকাপো একটি বই রচনা হয়ে যায়। যে বইয়ের কাভারে লেখা থাকবে—সাকিবে সাকিবে ২০১৯ বিশ্বকাপ।
Share.

Comments are closed.