সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা

0
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনায় কাছের স্বজনদের কেউ জড়িত রয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পরিবারের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ধরনের আলামত পাওয়া গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলেও পুলিশ ধারণা করছে। পুলিশ সুপার জানান, ‘তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবা আবদুল বাছির, চাচা আবদুল মচ্ছব্বির, নাছির উদ্দিন, আজিবুল ইসলাম, চাচি খায়রুন্নেসা ও চাচাতো বোন তানিয়া বেগমকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিবারের কেউই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আজ সোমবার রাতের মধ্যেই বিষয়ে মামলা দায়ের করার চেষ্টা চলছে। আটকদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ উল্লেখ্য, আজ সোমবার সকালে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাজাউড়া গ্রামে কদম গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে কাজাউড়া গ্রামের আবদুল বাছিরের ছেলে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রবিবার রাতে তুহিন বাবার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। বাবা বাছির ঘর থেকে বের হতে গেলে দেখতে পান বসতঘরের সামনের দরজা খোলা। তুহিন বিছানায় নেই। পরে বাছির ঘটনাটি স্বজন ও প্রতিবেশীকে জানান। বসতঘরের কোথাও তুহিনকে না পেয়ে বাড়ির বাইরে খোঁজাখুঁজি করা হয়। একপর্যায়ে বাড়ির সামনের সড়কে রক্ত দেখতে পেয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে বাছির দেখেন গ্রামের মসজিদের পাশে একটি কদম গাছে ঝুলে রয়েছে তার সন্তানের লাশ। এ সময় তুহিনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তার  পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো ছিল, দুটি কান কাটা, এমনকি যৌনাঙ্গটিও কেটে ফেলা হয়েছে। সকালে দিরাই থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা তুহিনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
Share.

Comments are closed.