সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ বলেছেন, তার দেশের স্থাপনায় হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার সক্ষমতা রিয়াদের রয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ওই বিবৃতি দেন রাজা সালমান। এতে বলা হয়, মন্ত্রিসভা আরামকো-র স্থাপনায় হামলার ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন এই হামলাকারীদের মোকাবিলা করেন।
১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর রিয়াদের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হাজির করা হয়।
ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি এ হামলার দায় স্বীকার করলেও সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলে দাবি করে আসছে। যদিও তেহরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র কোথা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে সেই স্থানগুলো চিহ্নিত করার দাবি করে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি আরবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দক্ষিণমুখী করে মোতায়েন করায় এটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিরোধ করতে পারেনি। ইয়েমেন থেকে হুথি বিদ্রোহীদের ছোড়া ড্রোন প্রতিরোধ করতে এটিকে দক্ষিণমুখী করে মোতায়েন করা হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘হামলার ব্যাপ্তি ও গতিপথের কারণে হুথি বিদ্রোহীদের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।’ একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা আঘাত ও লক্ষ্যবস্তুর ১৯টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ইয়েমেনের হুথিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা নয়, সৌদি তেল স্থাপনার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক। কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই হামলাটি উত্তর উপসাগর, ইরান বা ইরাকের কোনও ঘাঁটি থেকে চালানো হয়ে থাকতে পারে। যদিও ইরাক তাদের ভূখণ্ড থেকে সৌদি আরবে আক্রমণের খবর অস্বীকার করেছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই হামলাকে ‘ইয়েমেনি জনগণের’ একটি পারস্পরিক কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা।