খুলনার বহুল আলোচিত রহিমার কথিত অন্তর্ধানের বিষয়ে তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেছে পিবিআই পুলিশ। আর তার বিষয়ে হওয়া মামলার ভুক্তভোগীদের দাবি, রহিমার অন্তর্ধানের পুরো বিষয়টি ছিল পরিকল্পিত। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই এ কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা পরিবারের সদস্যরা। গত রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারি থেকে অক্ষত অবস্থায় রহিমাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিখোঁজের ২৯ দিন পর উদ্ধার হওয়া খুলনার বহুল আলোচিত রহিমা বেগম কারও কাছে যেতে চান না। এমনকি কারও সঙ্গে কথাও বলতে চান না। বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। রহিমার মেয়ে মরিয়ম মান্নান পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছেন অভিযোগ করে পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, মরিয়ম মান্নান বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। তিনি কেন এটা করেছেন তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে ওই মামলায় আটকৃকৃতদের ভুক্তভোগী স্বজনদের দাবি, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই এ কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। খুলনা নগরীর পাবলা এলাকার রহিমা বেগমের সন্ধান মিলছিল না গত ২৭ আগস্ট থেকে। সম্প্রতি ময়মনসিংহে পাওয়া অজ্ঞাত এক মরদেহকে নিজের মা বলে দাবি করেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান। উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা এলাকার গৃহীনী রাহিমা বেগম। ঘণ্টা পার হলেও তিনি বাসায় ফিরে না এলে রাতে সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। মামলার তদন্তকালে এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।