রমজানকে সামনে রেখেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

0

রমজান এলেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে প্রতিযোগিতায় নামেন ব্যবসায়ীরা। এসময় মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে পন্যের দামে মুল্যহ্রাসের অফার আর এদেশে ক্রেতারা দেখেন বিক্রেতা বা সিন্ডিকেটের নিষ্ঠুর চেহারা। বাজারজুড়ে পান্ডুর মুখে ঘুরতে থাকেন অসহায় ক্রেতারা্।

শুরু হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। রমজানকে সামনে রেখেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও ভিড় বেড়েছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রকার চালের দাম সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত, পোলাওয়ের চাল খোলা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা দানা মশুর ডাল ১০০ টাকা, দেশি ছোট মশুর ডাল ১৩৫ টাকা, বুটের ডাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, ছোলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার ১৮৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল লিটার ১৮০ টাকা এবং পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা লিটার দরে। এছাড়া লবণের কেজি ৪২টাকা, চিনি ১৩০ টাকা,প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা, ময়দা ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।দাম নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ক্রেতাদের।

মাছ-মাংসের বাজারে দেখা গেছে,ব্রয়লারের কেজি ২৫০ টাকা, লেয়ার ৩২০টাকা, সোনালি ৩০০ থেকে ৩৭০টাকা, দেশি মুরগি ৭০০টাকা আর ডিমের ডজন ১৪০ টাকা। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারজুড়ে অসন্তোষের শেষ নেই ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা জানান, দাম আগের মতোই আছে, স্বাভাবিক দামেই বেচা-বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্য।কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়ার কারন হলো পাইকারি বাজার। তবে শিগগিরই কমতে পারে অনেক পন্যের দাম। রমজানে বিশ্বের অনেক দেশেই পণ্যের ওপর দেয়া হয় নানা অফার বা ডিসকাউন্ট। একই সময় উল্টো চিত্র বাংলাদেশে,পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সবাই।

Share.

Comments are closed.